পার্বত্য চট্টগ্রামে আশংকিত হওয়ার মত যে ব্যাপারগুলো ঘটছে তা হল ক্ষুদ্র জনজাতি সমুহের (আমি এখানে জুম্ম নামে উল্লেখ করতে চাই) স্বাধিকার আন্দোলন এখন ভাতৃঘাতি হানাহানিতে বিপর্যস্ত। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজ ও তরুণ–ছাত্র যুবকরা রাজনীতিবিমুখ। যে তরুণ সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা তারা নাক–মুখ ডুবিয়ে আছে ভোগবাদী নর্দমায়, আত্মকেন্দ্রিক জীবনবোধের বৃত্তে সমাজ–জীবনবিমুখ সুখ–বিলাসের আকাংখায়। অনেক শিক্ষিত স্নাতক জুম্ম তরুণ এনজিও–তে ঢুকছে। এখানে যুক্তি হতে পারে এনজিও–তে চাকরি করা খারাপ কিনা ? বা প[হাড়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ যেখানে নেই বললেই চলে সেখানে এনজিও–গুলো ব্যাপকসংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে, ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে। এখানে আমি বলতে চাই আমি কর্মসংস্থানের বিপক্ষে নই। কিন্তু এনজিও–তে চাকরির ফলে সমাজে একটা সমাজ মনন গড়ে ওঠে যা আমাদের জুম্ম সমাজে যেখানে আমরা অস্তিতের লড়াইয়ে লড়ছি, তার ক্ষতি হয়। একটা ঘটনা দিয়ে বলি– আমাদের ছোট কাগজের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া একজন ছাত্রকে আমরা একটা বিশ্লেষণধর্মী লেখা দিতে বলি (সে একজন জুম্ম Prominent ছাত্র) সে আমাদের জানিয়েছিলো আমাদের প্রকাশনার জন্য বিশেষ করে আদিবাসী ইস্যুতে প্রকাশনার নামে আমরা যদি এনজিও –দের কাছ থেকে কিছু ফাও যোগাড় করতে পারি যা দিয়ে একজন লেখকের পারিশ্রমিক দিতে পারি।
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ